বলিউড অভিনেতা সালমান খান এখন ভারতের যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ১০৬
নম্বর কয়েদি। কারাগারে যাওয়ার পর বন্দীদের জন্য বরাদ্দ গত বৃহস্পতিবারের
রাতের ও গতকাল শুক্রবারের সকালের খাবার খাননি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। তবে তাঁর
পছন্দের কাজ শরীরচর্চা করতে ভোলেননি।
কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, ২ নম্বর কারাকক্ষে গতকাল সালমান খান তিন
ঘণ্টা ব্যায়াম করেছেন। তিনি পেটের ব্যায়াম, পুশ-আপ, দড়িলাফ ও লাফালাফি
করেছেন। সেই সঙ্গে আরও নানা শরীরচর্চা করেছেন।
টিএনএনের খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অস্থিরতায় ভুগছিলেন
‘বজরঙ্গি ভাইজান’। সে সময় কারাগারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানতে চান, তাঁর
চিকিৎসক লাগবে কি না। জবাবে শান্তভাবে ‘না’ বলে মেঝেতে পেতে রাখা মাদুরে
শুয়ে পড়েন সালমান।
কারা তত্ত্বাবধায়ক বিক্রম সিং বলেন, মাঝরাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়েন সালমান
খান। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কারাগারের সাইরেন বাজলে কয়েক মিনিটের জন্য ঘুম
ভাঙে বলিউডের এই অভিনেতার। পরে আবার তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ওঠেন সকাল সাড়ে
আটটার দিকে।
বিক্রম সিং বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে কারাবন্দীদের জন্য বরাদ্দ খাবার
খেতে চাননি সালমান। এর বদলে তিনি কারাগারের ক্যানটিন থেকে খাবার আনতে
পারবেন কি না তা কারাকর্মীদের কাছে জানতে চান। পরে তাঁকে ক্যানটিন থেকে
রুটি ও এক গ্লাস দুধ এনে দেওয়া হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সালমান খানকে জানানো হয় আদালত তাঁর জামিন আবেদনের
বিষয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর তিনি আর দুপুরের খাবার খাননি।
সালমান খান বিকেলে বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা ও তাঁর দুই বোন আলভিরা
আর অর্পিতার সঙ্গে দেখা করেন। ঠিকমতো খাবার না খেলেও কারাকর্মীদের আশ্চর্য
করে দিয়ে রোদের মধ্যে শরীরচর্চা শুরু করেন সালমান। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত একটানা শরীরচর্চা করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment