Saturday, April 7, 2018

সিরিয়ায় আবার রাসায়নিক হামলা, নিহত ৭০

সিরিয়ার পূর্ব ঘুটার বিদ্রোহী অধ্যূষিত দৌমা শহরে বিষাক্ত গ্যাস আক্রমণের ফলে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী সংস্থা 'হোয়াইট হেলমেট' একটি বেজমেন্টে লাশের ছবি সহ একটি টুইট করে। টুইটে বলা হয় যে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে এই তথ্য অন্য কোনো উৎস থেকে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলার এই অভিযোগকে "অতিরঞ্জন" বলে দাবী করেছে।
এর আগে করা এক টুইটে হোয়াইট হেলমেট দাবি করেছিল যমৃতের সংখ্যা ১৫০ জন। পরে ঐ টুইটটি মুছে ফেলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা সাম্প্রতিক আক্রমণ সম্পর্কে "খুবই পীড়াদায়ক" তথ্য পাচ্ছে। তারা আরও বলেছে রাসায়নিক হামলা ব্যবহার করা হয়ে থাকলে সিরিয়ার মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করা রাশিয়াকে দায়ী করা উচিৎ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, "নিজেদের লোকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। অগণিত সিরিয়ানদের ওপর রাসায়নিক হামলা করার দায় নিতে হবে রাশিয়াকে।"
সরকারবিরোধী 'ঘুটা মিডিয়া সেন্টার' টুইট করেছে যে এক হাজারের বেশি মানুষ এই রাসায়নিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা বলছে, একটি পিপের মধ্যে করে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা একটি বোমা ফেলা হয় সেখানে। ঐ পিপেতে বিষাক্ত রাসায়নিক সারিন ছিল বলে বলা হচ্ছে।
পূর্ব ঘুটা অঞ্চলের একমাত্র বিদ্রোহী অধ্যূষিত শহর দৌমা বর্তমানে সরকারি বাহিনী অবরোধ করে রেখেছে।
রুশ-সিরিয়ান বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ৩০
আলজাজিরা
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমাঞ্চলীয় গৌতার দৌমায় সরকারপন্থী প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর দামেস্কের আশপাশে অবরুদ্ধ বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির ১০ দিন পর আবারো হামলা চালানো হয়।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স নামে গোতায় সক্রিয় একটি উদ্ধার কর্মী গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ থেকে অবরুদ্ধ দৌমা দখল করতে শুক্রবার চালানো বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ৩০ জন নিহত হয়েছে। টেলিভিশনের লাইফ কাভারেজে দেখানো হয়েছে, হামলার পর দোমার বিভিন্ন অংশ থেকে ধোঁয়া উঠছে।

আরো কঠোর ফেসবুক

ফেসবুকে জনপ্রিয় পেজ বা পাতা যারা চালাচ্ছেন তাদের পরিচয় এবং তথ্য যাচাই করা হবে। ফেসবুকে ভুয়া সংবাদ ছড়ানো এবং অসত্য প্রচারণা বন্ধের জন্য যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে জনপ্রিয় পাতা পরিচালনাকারীর পরিচয় যাচাই করার কথা বলা হচ্ছে।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, জনপ্রিয় পেজ বা পাতাগুলো যাচাই করে দেখতে হবে। এই পাতাগুলো চালানোর ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, সেটা যাচাই করে দেখা হবে।
এটিকে ফেসবুক নতুন অভিযান হিসেবে দেখছে।
আর এই অভিযানে দেখা হবে, জনপ্রিয় পেজ পরিচালনায় কেউ আসল পরিচয় গোপন করে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছে কি-না।
জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাবকে তিনি সমর্থন করছেন।
কঠিন সময় পার করছে ফেসবুক। পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা কি আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারছে?
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণায় কৌশল নির্ধারণে ফেসবুকের গ্রাহকের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। কেমব্র্রিজি অ্যানালিকা এটি করেছে।
আর প্রতিষ্ঠানটিকে গ্রাহকের তথ্য দিয়েছে ফেইসবুক।
এই অভিযোগ ওঠার পর বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা চলছে ফেসবুক নিয়ে।
মার্ক জাকারবার্গ ভুল স্বীকার করেছেন।
তীব্র সমালোচনার মুখে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের প্রাইভেসি সেটিংসে পরিবর্তন আনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে।
কিন্তু শেয়ারবাজারে ফেসবুকের শেয়ারে ধস নেমেছে। সবদিক থেকেই চাপের মুখে পড়েছে ফেসবুক।
মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, তিনি আগে ভাবতেন, ফেসবুকের সুবিধা কে, কিভাবে ব্যবহার করলো - সেই দায় ব্যবহারকারিদের উপর বর্তাবে।
এই চিন্তায় সীমাবদ্ধতা ছিল বলে জাকারবার্গ মনে করেন।
ফেসবুককে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকে সার্চ বক্সে ইমেইল ঠিকানা বা ফোন নম্বর দিয়ে কোন ব্যবহারকারীকে খোঁজার যে ফিচার রয়েছে, কিছু লোক তার অপব্যবহার করছে বলে তাদের অনুসন্ধানে তারা পেয়েছেন।
এই ফিচারটি বন্ধ রাখার কথাও তিনি জানিয়েছেন।
বিভিন্ন পদক্ষেপ আস্থা কতটা ফিরিয়ে আনতে পারছে, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা এখনও সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

বিপজ্জনক খেলায় মেতেছেন সৌদি যুবরাজ

সৌদি আরবে প্রথা ভেঙে একের পর এক সংস্কার আনছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দুর্নীতি বিরোধী অভিযান, ধর্মীয় সহনশীলতা, নারীর প্রতি উদারতা, তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা ইসরায়েলের সঙ্গে হঠাৎ মৈত্রী, শত্রু দেশগুলোর প্রতি আরও কঠোরতা প্রদর্শন—এমন একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় তিনি। সৌদি আরবে বহু বছরের প্রথা ভেঙে নানান সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছেন সৌদি যুবরাজ। প্রশংসা তাঁকে হয়তো আরও বেশি বেশি সংস্কারে উদ্বুদ্ধ করেছে। তবে এর পরিণাম কি ভেবেছেন কেউ? এভাবে একের পর এক একক সিদ্ধান্ত স্বৈরতন্ত্র ও আঞ্চলিক যুদ্ধের পথ তৈরি করছে না তো! ইয়েমেন যুদ্ধে মানবিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হচ্ছে তাঁকে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার জন্য তাঁর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বর্তমানে সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক মনে করা হয়। ২০১৫ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর উত্থান ঘটে। গত জুনে মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স (পরবর্তী শাসক) ঘোষণা করা হয়।
ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর থেকে তিনি একের পর এক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেন। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ৩৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ আদায় করে মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে আছেন ১১ প্রিন্স, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে ১৮ এপ্রিল থেকে দেশটিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হচ্ছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নতুন সামাজিক চুক্তির কথা বলছেন, যেখানে আগের মতো স্থবির আমলাতন্ত্র থাকবে না।
তিনি ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি প্রযুক্তিনির্ভর শহর স্থাপনের পরিকল্পনা কথা বলছেন, যেখানে নারী-পুরুষ অবাধে চলতে পারবে। আগামী জুন মাস থেকে সৌদি নারীরা গাড়ি চালনার অনুমতি পাচ্ছেন। সৌদি নারীরা এই প্রথম মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন। একই সময়ে তিনি সৌদির ধর্মীয় পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করেন। এই পুলিশের অন্যতম কাজ ছিল-লোকজন প্রকাশ্যে চলাফেরার সময় নির্ধারিত পোশাক পরছে কিনা, বিশেষ করে মেয়েরা সেটা লক্ষ্য রাখা। খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের প্রতি আচরণসহ অন্যান্য বিষয়ে গোঁড়ামি কমিয়ে আনা ও আরও সহনশীলতা প্রদর্শন-এমন নীতিও পশ্চিমা বিশ্বে প্রশংসিত হয়।
যুবরাজ সালমান দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধানকে সরিয়ে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে নিয়ে আসেন নতুন ব্যক্তিদের। যুবরাজের মতে, সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেটের ক্ষেত্রে সৌদি আরব বিশ্বের চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও সেখানে দক্ষ সেনার সংখ্যা অনেক কম।

বিউটিকে খুন করেন বাবা, ধর্ষণ করেন বাবুল: পুলিশ

হবিগঞ্জের আলোচিত বিউটি আক্তার হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিউটির বাবা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর বিউটিকে অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বাবুল মিয়া। শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বিধান ত্রিপুরা। তিনি বলেন, বিউটির বাবা শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে একই ঘটনায় জড়িত ময়না মিয়াও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নিহত বিউটির নানি ফাতেমা বেগম ও ময়না মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম।
এসপি বলেন, বিউটির বাবা সায়েদ আলীসহ তিনজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা ইউপি সদস্য কলমচান বিবি ও তাঁর ছেলে বাবুল মিয়াকে ফাঁসানোর জন্য বিউটিকে হত্যা করেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া বিউটিকে অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিধান ত্রিপুরা বলেন, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নবগঠিত ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে নির্বাচন করেন কলমচান বিবি ও একই গ্রামের ময়না মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম। নির্বাচনে কলমচান বিবি জয়ী হন। কিন্তু নির্বাচন ঘিরে কলমচান বিবি ও আছমা বেগমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আছমার স্বামী ময়না মিয়া নির্বাচনের আগ থেকেই কলমচান বিবিকে নির্বাচন না করার অনুরোধ করে আসছিলেন। কিন্তু তা শোনেননি কলমচান বিবি। ময়না মিয়া ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

কারাগারেও চলছে সালমানের ব্যায়াম

বলিউড অভিনেতা সালমান খান এখন ভারতের যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ১০৬ নম্বর কয়েদি। কারাগারে যাওয়ার পর বন্দীদের জন্য বরাদ্দ গত বৃহস্পতিবারের রাতের ও গতকাল শুক্রবারের সকালের খাবার খাননি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। তবে তাঁর পছন্দের কাজ শরীরচর্চা করতে ভোলেননি। কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, ২ নম্বর কারাকক্ষে গতকাল সালমান খান তিন ঘণ্টা ব্যায়াম করেছেন। তিনি পেটের ব্যায়াম, পুশ-আপ, দড়িলাফ ও লাফালাফি করেছেন। সেই সঙ্গে আরও নানা শরীরচর্চা করেছেন।
টিএনএনের খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অস্থিরতায় ভুগছিলেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। সে সময় কারাগারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানতে চান, তাঁর চিকিৎসক লাগবে কি না। জবাবে শান্তভাবে ‘না’ বলে মেঝেতে পেতে রাখা মাদুরে শুয়ে পড়েন সালমান।
কারা তত্ত্বাবধায়ক বিক্রম সিং বলেন, মাঝরাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়েন সালমান খান। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কারাগারের সাইরেন বাজলে কয়েক মিনিটের জন্য ঘুম ভাঙে বলিউডের এই অভিনেতার। পরে আবার তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ওঠেন সকাল সাড়ে আটটার দিকে।
বিক্রম সিং বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে কারাবন্দীদের জন্য বরাদ্দ খাবার খেতে চাননি সালমান। এর বদলে তিনি কারাগারের ক্যানটিন থেকে খাবার আনতে পারবেন কি না তা কারাকর্মীদের কাছে জানতে চান। পরে তাঁকে ক্যানটিন থেকে রুটি ও এক গ্লাস দুধ এনে দেওয়া হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সালমান খানকে জানানো হয় আদালত তাঁর জামিন আবেদনের বিষয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর তিনি আর দুপুরের খাবার খাননি।
সালমান খান বিকেলে বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা ও তাঁর দুই বোন আলভিরা আর অর্পিতার সঙ্গে দেখা করেন। ঠিকমতো খাবার না খেলেও কারাকর্মীদের আশ্চর্য করে দিয়ে রোদের মধ্যে শরীরচর্চা শুরু করেন সালমান। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত একটানা শরীরচর্চা করেন তিনি।

Wednesday, April 4, 2018

দেবী’ বানানোর অনুমতি দিয়েছে কে?

হুমায়ূন আহমেদের দর্শকনন্দিত উপন্যাস ‘দেবী’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার মেয়ে শীলা আহমেদ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে সোমবার এক স্ট্যাটাসে শীলা লেখেন, কে দেবী বানানোর অনুমতি দিয়েছে? তিনি আরও জানান, আমরা চার ভাইবোন অনুমতি দিইনি। তা হলে কীভাবে এই সিনেমা সরকারি অনুদান পেল?
যুগান্তর পাঠকের জন্য শীলা আহমেদের ফেসবুক স্ট্যাটাসটা হুবহু তুলে দেয়া হল।
‘খবরের কাগজে দেখলাম ‘দেবী’ ইন্ডিয়াতে আগে মুক্তি পাচ্ছে! ইন্ডিয়া অথবা বাংলাদেশ, আগে অথবা পরে কোনো কিছুতেই আমার অবশ্য কিছু যায় আসে না। আমার জানতে ইচ্ছা করছে- কে দেবী বানানোর অনুমতি দিয়েছে? আমরা চার ভাইবোন দিইনি। আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এই সিনেমা সরকারি অনুদান পেল? কীভাবে এটি বানানো হয়ে গেল? কীভাবে এটি মুক্তি পাচ্ছে?
খুব দুঃখজনক হলেও এটি সত্যি যে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তার সব কিছুর উত্তরাধিকার তার স্ত্রী আর ছেলেমেয়েরা। সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের খুব খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই যে আমরা চার ভাইবোনও হুমায়ূন আহমেদ এর ছেলেমেয়ে! আমরা TV তে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদ- হুমায়ূন আহমেদ করছি না, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছি না, হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী/ মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল দিচ্ছি না দেখে ভাবার কোনো কারণ নেই যে আমাদের আইনগত কোনো অধিকার নেই!
আমাদের ১০০% আইনগত অধিকার আছে বাবার কোন লেখা সিনেমা/ নাটক/ অনুবাদ হবে কিনা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়ার। এবং ‘সমাজের বিশিষ্ট মানুষরা’- আপনারা যদি হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে নাটক-সিনেমা বানান, আপনাদেরও ১০০% দায়িত্ব আছে হুমায়ূন আহমেদের প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক উত্তরাধিকারের অনুমতি নেয়া।

ঐশ্বরিয়ার নতুন চমক

যার পদচারণায় উল্লাসে মাতে গ্যালারি। যাকে দেখেই অভিভূত হন দর্শক। তিনি লাখো পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তুলেছেন। এখনো তার রূপ অনেক নারীর মনে ঈর্ষা জাগায়। তিনি সাবেক বিশ্বসুন্দরী, হালে বচ্চন পরিবারের বধূ ঐশ্বরিয়া রাই।
বিভিন্ন সময়ে অনেক আলোচিত কাজ করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। তাই এবারো হয়নি তার ব্যতিক্রম। এবার নতুন চমক দেখালেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। প্রখ্যাত র‌্যাপার, সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও প্রযোজক ফ্যারেল উইলিয়ামস। এপ্রিল মাসে প্রকাশিত ‘ভোগ ইন্ডিয়া’র প্রচ্ছদসহ অন্য ছবিগুলোয় ফ্যারেল উইলিয়ামসের সঙ্গে বলিউডের এই তারকা কুল, মজার এবং ফ্লার্টি লুকে পোজ দিয়েছেন।
‘ভোগ ইন্ডিয়া’র এবারের ফটোশুট নিয়ে একটু ঝামেলা পোহাতে হয়েছে ঐশ্বরিয়াকে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই ম্যাগাজিনের শুট করাটা তার কাছে খুবই কঠিন ছিল। কারণ, বাসায় মেয়েকে দেখাশোনা, আবার নতুন ছবির শুটিং। যদিও মেয়ের দেখাশোনার জন্য বাসায় একজন ন্যানি রয়েছেন।

প্রতি বছর ক্ষতি হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংকিং খাতে অদক্ষতায় বছরে ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা। এ ক্ষতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশের সমান। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম’র (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার বিধান এবং সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা নগদ জমার হার) ১ শতাংশ কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করায় ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।
সংবাদ সম্মেলনে সানেম’র নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ব্যাংক খাতে অনাদায়ি ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, ব্যাংকিং সেক্টরে একটার পর একটা ‘স্ক্যাম’ হচ্ছে, আমানতকারীরা এখন ব্যাংকে টাকা রাখতে বিশ্বাস পাচ্ছেন না। ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, অনাদায়ী ঋণ সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। এটার বড় কারণ হচ্ছে, ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল নিয়ন্ত্রণ এবং যারা ঋণখেলাপি হচ্ছে তাদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতার অভাব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা নেই; বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে আমরা দেখছি, বাংলাদেশ ব্যাংককে বাইপাস করে। এটা কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংককে একটা সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে যে তার ভূমিকাটা কি? ব্যাংকিং সেক্টরের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের হওয়া উচিত, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখছি সেটা হচ্ছে না।’
নীতিগত বিষয়ে বড় ধরনের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াটি ‘ভুল’ এবং তা ‘রং সিগনাল’ দিচ্ছে মন্তব্য করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এ দুটি সিদ্ধান্তই (সরকারি আমানতের অর্ধেক বেসরকারি ব্যাংকে রাখা ও সিআরআর ১ শতাংশ কমানো) সঠিক উপায়ে নেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি মেকিংয়ের ইউনিট আছে, তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, এখানে আমরা কিন্তু তা দেখিনি। এ ধরনের বড় সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বাংলাদেশ ব্যাংকে বসে তা হয়নি, যা আশ্চর্যের বিষয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর দাবির মুখে।
ড. সেলিম রায়হান আরও বলেন, ‘যে ব্যাংকগুলো এখন খারাপ পারফর্ম করছে, তাদের কাছে যদি আবার টাকা দেয়া হয়, সেই টাকারও অপব্যবহার হবে কিনা- তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে সিআরআর আমানতকারীদের সেইফটি হিসেবে কাজ করে, সেখানে বড় ধরনের রেশিও কমানো সুবিবেচিত হয়নি।

স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই খুন হন এ্যাডভোকেট রথীশচন্দ্র ভৌমিক

স্ত্রীর পরকীয়া এবং তার পরিকল্পনাতেই খুন হয়েছেন রংপুরের অতিরিক্ত জজ আদালতের পিপি এবং চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও ও মাজারের খাদেম রহমত হত্যা মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবু সোনা)। পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ বাড়ির নিকটস্থ তাজহাট মোল্লা পাড়ার একটি নির্মাণাধীন বাসা থেকে অর্ধ গলিত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্ত্রীর পরকীয়া এবং তার পরিকল্পনাতেই তিনি খুন হয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত নিহত এ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্রের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দিপা (দীপা ভৌমিক), তার প্রেমিক কামরুল ইসলাম জাফরী এবং সহযোগি আরও ২ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩০ মার্চ নিখোঁজের পর স্ত্রী দীপা জানিয়েছিলেন, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় বাসা থেকে বের হন নিহত আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবু সোনা)। এর পর আর বাসায় ফেরেননি। সকাল ১০টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। কিন্তু পুলিশের ধারণা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। কারণ তার মোবাইলের কললিষ্ট অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত দশটা ২২ মিনিটে সর্বশেষ তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তখন তার অবস্থান ছিল স্টেশন এলাকায়। সেই থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল। কিন্তু রথিশের স্ত্রী পুলিশ-র‌্যাবকে জানিয়েছিলেন শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে একটি মোটর সাইকেলে উঠে চলে যান তার স্বামী। আসলে রথিশ চন্দ্র নিখোঁজ ছিলেন বৃহস্পতিবার রাত থেকেই। তাকে ওই রাতেই হত্যা করে একটি বাড়ির মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
ক্লুবিহীন এই হত্যাকাÐ নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৪ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি-জামায়াত সম্পৃক্ততা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, ব্যক্তিগত এবং হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন তারা। ৪ দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় নানা কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠে রংপুর।
দফায় দফায় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ্যাডভোকেট রথিশের বাড়িতে যান। সেখানে রথিশের স্ত্রীর সাথে কথা বললে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয়। জানা গেছে, পুলিশ কয়েক দফায় রথিশের স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে কথার বলার সময় তারা অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন। নিখোঁজের বিষয়টিতে তারা খুব একটা আমলে নেননি। স্ত্রীর দাবি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ। অথচ মোবাইল কল লিস্টে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার রাত দশটায় সর্বশেষ কথা বলেন তিনি। এরপর তার ফোনে আর কল যায়নি বা আসেনি। ওই কল লিস্ট অনুযায়ী দেখা যায় কামরুল ও দীপা ভৌমিক প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৩ বার কথা বলতেন। পরে এ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিকের সহকর্মী ও তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলামকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল ইসলাম পরকীয়া এবং খুনের বিষয়টি স্বীকার করলে র‌্যাব দীপা ভৌমিককে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তার তথ্যের ভিত্তিতেই র‌্যাব-পুলিশ যৌথভাবে দীপা ভৌমিক প্রেমিক কামরুল ইসলামের ভাই খাদেমুল ইসলাম জাফরির বাড়ি থেকে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিকসহ স্বজনরা এ্যাডঃ রথিশের লাশ শনাক্ত করেন।
যেভাবে হত্যা করা হয়
মুলতঃ স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম এবং পারিবারিক কলহের কারণেই খুন হয়েছেন এডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবু সোনা)। তাকে দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ একটি আলমারিতে ভরে আলমারি পরিবর্তনের নাম করে নিয়ে যাওয়া হয় মোল্লাপাড়ার সেই বাড়িতে। সেখানে পূর্বেই করে রাখা গর্তে তার লাশ পুতে রাখা হয়।
গতকাল বুধবার রংপুর র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই মাস ধরে হত্যা পরিকল্পনা করেন এ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দিপা ও তার প্রেমিক কামরুল মাস্টার। তারা উভয়েই তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ইউটিউবের সদর দফতরে হামলাকারী কে এই নারী, কেনইবা এ হামলা?

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউটিউবের সদর দফতরে গুলিবর্ষণকারী মহিলার পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তার নাম নাসিম আগদাম, ইরানী বংশোদ্ভূত এই মহিলার বয়েস ৩৯।
ইউটিউব কার্যালয়ে নাসিম আগদামের বন্দুক হামলায় একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা আহত হন। মিজ আগদাম পরে নিজের ওপর গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ আক্রমণের উদ্দেশ্য কি তা এখনো তদন্ত করা হচ্ছে। তবে সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, ইউটিউবে নাসিম আগদাম যে সব ভিডিও পোস্ট করতেন তা ফিল্টার করা হচ্ছিল বলে তিনি ইউটিউব কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
নাসিম আগদাম দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোর বাসিন্দা। তার একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং একটি ওয়েবসাইট ছিল। তিনি যে সব ভিডিও পোস্ট করতেন তার মধ্যে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতাকে তুলে ধরা হতো।
নাসিম আগদামকে বিভিন্ন জায়গায় একজন ‘ভেগান বডিবিল্ডার, শিল্পী এবং র‍্যাপ গায়ক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
তিনি গত বছর জানুয়ারি মাসে অভিযোগ করেন যে, ইউটিউব তার ভিডিওগুলো ফিল্টার করছে। এ কারণে অপেক্ষাকৃত কম লোক তা দেখতে পারছে এবং এ থেকে তিনি যে অর্থ আয় করতেন তাও কমে যাচ্ছে।
তিনি এডলফ হিটলারকে উদ্ধৃত করে তার ওয়েবসাইটে বলেন, একটা বড় মিথ্যেকে বার বার বলতে থাকলে এক পর্যায়ে লোকে তা বিশ্বাস করবে।
নাসিমওয়ান্ডারওয়ান নামে তার চ্যানেলটি এখন মুছে দেয়া হয়েছে। এর ৫ হাজার সাবস্ক্রাইবার ছিল।
আগদামের পিতা ইসমাইল বলেছেন, ইউটিউব তার ভিডিও জন্য অর্থ দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় তার মেয়ে ক্রুদ্ধ ছিল।
তিনি আরো জানান, দু’দিন ধরে নাসিম আগদাম তার ফোন ধরছিলেন না। সোমবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এর পর ইউটিউব সদর দফতরের ১৫ মাইল দূরে রাস্তার ওপর পুলিশ তাকে খুঁজে পায়।
তিনি গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে পুলিশ তার পরিবারকে জানায়, তবে আগদামকে আটক করা হয়নি।

ভারত-পাকিস্তান কী শিগগিরই যুদ্ধ লাগবে ?

দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের নৌ বহরে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন যুক্ত হওয়ার বিষয়টি এই অঞ্চলে ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ভক্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে এসব কথা।
পাকিস্তান প্রকাশ্যেই বলেছে, তাদের নৌ বাহিনীর সাবমেরিনকে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত করার উদ্দেশ্য ছিলো ভারতের একই ধরনের কাজের পাল্টা ব্যবস্থা। ভক্স ওয়েবসাইটের সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের আগস্টে সাবমেরিনে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছিলো ভারত। কাজেই এই প্রতিযোগিতা দুই বৈরি প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে ভক্স।
এর মধ্য দিয়ে উভয় দেশই যুদ্ধের সবগুলো ক্ষেত্রে পারমাণবিক সামর্থ অর্জন করলো, একে অন্যকে স্থল, আকাশ ও নৌ পথেও পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে এখন। সাধারণত পারমাণবিক যুদ্ধে সাবমেরিনকে বিবেচনা করা হয় সবচেয়ে নিরাপদ বাহন হিসেবে, কারণ এটি শত্রুর হামলা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে এবং দ্রুত পাল্টা আঘাত হানতে পারে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শত্রুতা, যা আজো চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুটি দেশ জড়িত হয়েছে পারমাণবিক শক্তির দৌড়ে।
দুই প্রতিবেশী দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ক্রমশই বাড়ছে। যার প্রভাব এখন পড়তে শুরু করেছে ভারত মহাসাগরেও। তবে ভয়াবহ এই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের চেইন অব কমান্ড ও অস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রন হারানোর ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে এবং এসব অস্ত্র এখন এমন সব জায়গায় স্থাপন করা হচ্ছে যা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
ইসলামাবাদের কায়েদ ই আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জাফর জাসপাল এ বিষয়ে বলেন, ‘ভারত মহাসাগরের পারমাণবিকিকরণ শুরু হয়েছে। উভয় দেশই সীমা অতিক্রম করছে’।
ভক্সের রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক পরিস্থিতিকে কোরীয় উপদ্বীপের অবস্থার সাথে তুলনা করা হয়েছে। তবে এতে আরো বলা হয়েছে পারমাণবিক কর্মসূচীর ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ ও নয়া দিল্লি উভয় আন্তর্জাতিক তদন্ত এড়াতে পেরেছে। সেই সাথে ওয়েবসাইটটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, প্রতিযোগিতামূলক সমুদ্রসীমায় অনভিজ্ঞ অফিসারদের নিয়ন্ত্রণে পারমাণাবিক অস্ত্র থাকার কারণে যে কোন সময় হঠাৎ হামলার ঘটনা থেকে দেশ দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে                             অসতর্কতায় আক্রমণ
রিপোর্টে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত সাবমেরিন রয়েছে এবং এই সাবমেরিনগুলো চলে পারমাণবিক জ্বালানিতে। সেগুলো সবার দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে অনায়াসে মাসের পর মাস পানির নিচে থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্রুদের খাদ্য ফুরিয়ে গেলে সেগুলোকে মাঝেমধ্যে ভাসতে হয়। অন্যদিকে পাকিস্তান, ভারত ও ইসরাইলের যেসব সাবমেরিন রয়েছে তাতে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করা হলেও সাবমেরিনগুলো ডিজেল চালিত। বৃহৎ শক্তিগুলোর সাবমেরিনের তুলনায় এগুলোর যন্ত্রপাতিও অনুন্নত, চলার সময় অধিক শব্দ সৃষ্টি করে এবং একটানা দুই সপ্তাহের বেশি পানির নিচে থাকতে পারে না। এই সাবমেরিনগুলো চিহ্নিত করাও সহজ।
ভারত এক লজ্জাজনক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে - হঠাৎ করেই আরিহান্ত সাবমেরিনের হ্যাচ খুলে গিয়ে এর অপারেটিং কক্ষে পানি ঢোকে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই ঘটনাকে ‘মানবীয় ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চেয়েছিলো ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। এমনকি ভারতের রাজনৈতিক নেতাদেরও এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছে ভক্স।